ইনসিকিওরিটি


 

"ইনসিকিওরিটি"

উন্মাদ~The Huligan🍀

এই যে আমরা সবসময় মিউচ্যুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং, মিউচ্যুয়াল এফোর্টস এর কথা বলি, কথাগুলোর যথাযথ মর্যাদা দিই ক‌ই? আমরা কতটা এফেক্টিভলি পালন করি? আর যদি করেই থাকি তাহলে এই জেনেরশনটার সবার মন ভাঙা কেন? হোয়াটসঅ্যাপ খুললেই স্টোরি তে স্যাড পোস্ট, ডিপি রিমুভ, ব্রোকেন হার্ট নিয়ে সবাই রাতে ইনসোমনিয়াতে ভুগছে, কেন?


মূলত দুটো দিক, এক বিশ্বাসঘাতকতার শিকার কিংবা তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ আর দুই আমরা নিজেরাই নিজেদের বুঝে উঠতে পারিনি, বোঝাতে পারিনি, সময় থাকতে যেটুকু বলার ছিল বলতে পারিনি, সোজাসুজি বলার সাহস রাখিনি, সম্পর্কর থেকেও ইগোকে জিততে দিয়েছি বেশি।


যদি কিছু প্রবলেম হয় বা খারাপ লাগে, তবে সেটা সামনে না বলে ইনডাইরেক্টলি বলার চেষ্টা করেছি, তাতে সেও বোঝেনি আর আমিও বলিনি, তাতে কথা কাটাকাটি হয়েছে, অভিমানটা পুষে রেখেছি আর তাতে কষ্ট আমাদের‌ই হয়েছে। আমরা সামনে বলিনা কেন? যেখানে বলার প্রয়োজন, লড়াই প্রয়োজন সেখানেই করিনি অথচ অপ্রয়োজনীয় টপিকে আর্গুমেন্ট চালিয়ে গেছি, কেন বলিনা এটা খারাপ লাগছে, শুরুর দিকে বললেও কেন বলিনা আমি মিস করছি? সে ভগবান নয় যে আমার মনের ভাবনা সবটা বুঝে নেবে, কেন প্রত্যাশা করি?


আমরা ভয় পাই, ভয় পাই যদি সে খারাপ ভাবে? যদি বলে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছি? যদি বলে প্যাম্পার করছি? যদি বলে ন্যাকামি করছি? আর এসবের এফেক্ট যদি সম্পর্কে পরে? তখন কি করব? আমরা হারিয়ে ফেলতে ভয় পাই, ভালোবাসার মানুষকে হারাতে আমরা সবসময় ভয় পাই আর এখান থেকেই শুরু হয় ইনসিকিওরিটির।


সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে কেউ খোঁজ নিক কেমন আছি, কিছু কিছু জিনিসে অভিভাবকের মতো গাইড করুক যে এটা করো বা এটা করোনা, এই জিনিসটা ভালো লাগছে ওটা নয়, খেয়েছি কিনা জিজ্ঞেস করুক, শরীর খারাপে খোঁজটা নিক, কঠিন সময়ে পাশে থাকুক, তার ব্যর্থতাও শেয়ার করুক, আনন্দটাও ভাগ করে নিক, এই ছোট ছোট বিষয়ে প্রত্যাশা করাটা ভুল নয়, ভালোবাসলে মানুষ এটুকু করেই। আর আপনিও যদি সেম জিনিসটা করেন তবে সেও খুশি হবে কারন সেও মানুষ, এবার এই বিষয় গুলোতে যদি সে বলে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, বা এত কিসের? প্যাম্পার করোনা, ব্যস্ত আমি পারবোনা তবে বুঝে নিন আপনি ভুল মানুষকে ভালোবাসেন, সে আপনাকে ভালোবাসেই না।


যে মানুষটা আপনাকে ভালোবাসে তাকে হারানোর ভয় থাকবেই কিন্তু তার সাথে আপনি মন খুলে কথা বলার জায়গাটা থাকবে, সবটুকু নাহলেও বোঝানোর বা বোঝার ক্ষমতা থাকবে, সম্পর্ক বাঁচাতে সেও ততটুকুই এফোর্ট দেবে যতটা আপনি, তাহলে সেখানে ইনসিকিওরিটি থাকেনা। তখন থাকে যখন মিথ্যে অভিযোগ, অজুহাত গুলো বাড়তে থাকে ক্রমশ, মন খুলে বলার জায়গাটা থাকেনা।


সময় থাকতে ইগো সরিয়ে সবটুকু বলে দিন, ভুল করলেও শোধরানোর সুযোগ দিন। মানুষ সবসময় এটা করোনা ওটা করোনা, এর সাথে কথা বলবেনা, ওখানে কমেন্ট করলে কেন এগুলো বলেনা, তখন বলে যখন হারানোর ভয়টা পায়, যখন আপনার সাথে সময় থাকেনা বা আপনার সাথে যা করেনা সেটা অন্যের সাথে করে, সেটা বুঝুন আগে, এই ইনসিকিওরনেসটা আসা উচিৎ নয়, আপনার ভালোবাসার মানুষটাকে আশ্বাস দিন, ভয় নয়।

কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.